হঠাৎ জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর অবসর ভেঙে ফিরছিলেন জাতীয় দলে। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় দলের বাইরে আছেন সাবেক এই অধিনায়ক। দীর্ঘ সময় আড়ালে থাকলেও চলতি সপ্তাহে মিরপুর স্টেডিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে সক্রিয় ভূমিকাতে দেখা গেছে তাকে। ওইদিনের পর থেকেই আলোচনা, তামিম ক্রিকেটে ফিরবেন নাকি বোর্ড পরিচালনায়?
তামিম প্রসঙ্গে আজ কথা বলেছেন বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রেও কিন্তু খেলোয়াড়ের চিন্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তামিম কী চিন্তা করছে, প্রথম তার সঙ্গে কথা বলা দরকার। এদিক-সেদিক না ঘুরিয়ে। তামিম খুব সেন্সেবল ছেলে। আমার মনে হয়, সে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরাদের একজন।’
তামিমকে আরও ২-৩ বছর খেলতে দেখতে চান উল্লেখ করে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আপনি যদি আমাকে বলেন, আমি দেখতে চাই তামিম আরও ২-৩ বছর খেলবে। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। আমার ব্যক্তিগত অভিমতে কিন্তু কিছু যায় আসে না। ওর ফিটনেস, দলে আসতে হলে কী করতে হবে— সেই বিষয়গুলো আছে। সভাপতি হিসেবে অফ দ্য রেকর্ড যদি জিজ্ঞেস করেন, আমি কিন্তু দেখতে চাই, সে আরও ২-৩ বছর ক্রিকেট খেলুক।
তামিম ওয়ানডে সংস্করণের ভাবনায় আছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কোন সংস্করণে খেলবে? আমার মনে হয়, ৫০ ওভার ওর জন্য উপযুক্ত হবে। দীর্ঘ সংস্করণে খেলতে পারলে সবচেয়ে ভালো হতো ওর অভিজ্ঞতার কারণে। কিন্তু এটার যে কষ্ট, হয়তো ওর শরীর নিতে পারবে না। আমি জানি না। এটা তামিমই বলতে পারবে।
তামিম খেলায় না ফিরলেও তাকে ক্রিকেটে চান ফারুক। তিনি মনে করেন পরিচালক হিসেবে তামিম বোর্ডে আসলে দারুণ ব্যাপার হবে। তামিমের মধ্যে লিডারশিপ কোয়ালিটি আছে বলে মনে করেন ফারুক, ‘খুব ভালো হয় যদি ও খেলতে পারে। আর যদি খেলতে না পারে, বোর্ডে আসে তাহলে আমি খুব খুশি হবো। কারণ আপনি দেখেন, তামিম আমার অন্তত বিশ বছরের ছোট হবে; যদি বেশি না হয়। কাছাকাছি হয়তো। সে সাবেক অধিনায়ক, তার মানে তার লিডারশিপ কোয়ালিটি আছে।
ফারুক আরও যোগ করে বলেছেন, ‘এসব ছেলে যত আসবে, তাদের যদি আমরা তাড়াতাড়ি কাজে লাগাতে পারি; তাহলে কিন্তু অনেক আইডিয়া আসবে; অনেক ভালো কিছু করতে পারবে। দেখি ওর সঙ্গে কথা বলে ব্যক্তিগতভাবে, ওর পরিকল্পনা কী, এভাবে আমরা এগিয়ে যেতে পারি।