জুলাই আন্দোলনে আহতদের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতার অংশ হিসেবে যশোরে সরকারিভাবে গেজেটভুক্ত ৬৬ জন আহত ব্যক্তিকে এককালীন আর্থিক অনুদান হিসেবে চেক প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রত্যেকের হাতে এক লাখ টাকার এই অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এই অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, সরকারি গেজেটভুক্ত হিসেবে চিহ্নিত আহতদের তালিকার ভিত্তিতেই এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেই আন্দোলনে যারা জীবন বাজি রেখে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের প্রতি জাতির দায়বদ্ধতা রয়েছে। এই অনুদান সেই দায়িত্ববোধেরই অংশ।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যশোরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক রাসেল, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজিবুল আলম, যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন সাফায়াত, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবীর, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খানসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
তবে এই চেক বিতরণকে কেন্দ্র করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু সদস্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্র আন্দোলনের একাংশের অভিযোগ, আহতদের তালিকাটি শতভাগ নির্ভুল নয় এবং কিছু প্রকৃত আহত ব্যক্তিকে গেজেটভুক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা সরকারিভাবে এই অনুদানকে স্বাগত জানাই। তবে তালিকা তৈরিতে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কিছু প্রকৃত আহত ব্যক্তি এখনও সরকারি স্বীকৃতি বঞ্চিত রয়েছেন।’
বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলাম জানান, ‘তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। যদি নতুন করে কেউ প্রমাণসহ আবেদন করেন, তাহলে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা বিবেচনা করতে পারেন।’
উল্লেখ্য আহতদের এই তালিকায় ৪ জন গণমাধ্যম কর্মীও ছিলেন।