রংপুরের মিঠাপুকুরে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে রবিউল ইসলাম নামে এক যুবককে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে লতিবপুর ইউনিয়নের জায়গীরহাটে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার মিঠাপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন যুবকের স্ত্রী। রবিউল ইসলাম নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, এক মাস আগে জায়গীরহাটে নিশ্চিন্তপুর গ্রামের নূর-বাদশা মিয়ার ছেলে রাকিব হাসানের দোকানে কাজ নেন রবিউল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে রবিউলকে চড়-থাপ্পড় মেরে দোকান থেকে বের করে দেন রাকিব। পরে আবার তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে করে কাফ্রিখাল ইউনিয়নে একটি মাছের খামারে নিয়ে যান। সেখানে আরও ৭-৮ জন যুবক ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলে। এরপর লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। পরে কাউকে কিছু বললে হত্যা করা হবে এমন হুমকি দিয়ে চলে যায়। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রবিউলের স্ত্রী সীমা বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। স্বামী রাজমিস্ত্রি কাজের পাশাপাশি দোকানে কাজ করে। যে টাকা পায় তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চলে। তাকে মোবাইল ফোন চুরির মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মারধর করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত রাকিব হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও সাড়া মেলেনি।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।